ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালিয়াকৈরে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

প্রকাশনার সময়: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫০ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সেই সুবাদে কালিয়াকৈরে জমে উঠেছে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের বেচাকেনা। ফুটপাতে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। জমে উঠেছে ব্যবসা। শীতের আগমনে ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে ভিড় করছে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, পল্লী বিদুৎ, চন্দ্রায় ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। তবে একইসাথে উপজেলার বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতানগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশাকের। এছাড়া ভ্যানে করেও অনেকে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। এসব কাপড়ের দোকানগুলোতে রয়েছে প্যান্ট, ট্রাউজার, শার্ট, চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, উলের টুপি, মাফলার, কোট, কান টুপি, মোজাসহ অনেক রকমের শীতের পোশাক। ছেলে, মেয়ে, শিশু, বয়স্কসহ নানান বয়সের মানুষের পোশাক পাওয়া যায় স্বল্পমূল্যে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার মধ্যে এসব পোশাক কিনতে বিকেল থেকে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। পছন্দের পোশাকটি কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন তারা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর-দামে মুখরিত হচ্ছে অস্থায়ী এসব দোকানগুলোতে।

সফিপুর পোশাক বিক্রেতা রশিদ বলেন, প্রতি বছর শীতের সময় আমি এখানে শীতের কাপড় বিক্রি করি। মূলত শীত বাড়লে আমাদের বেচা-কেনা অনেক বেড়ে যায়। হঠাৎ করে শীত নামায় আমাদের ফুটপাত দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে।

ফুটপাতের ব্যবসায়ী আলী জানান, নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় আমাদের কাছ থেকেই কিনে। আমাদের কাছ থেকে তারা অনেক কমে দামে ভালো মানের পণ্য ক্রয় করতে পারে। শো-রুমের দামের সঙ্গে আমাদের দামের ব্যবধান অনেক। তাই বলা যায় নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটার ভরসাস্থল হচ্ছে আমাদের এই ফুটপাতের দোকানগুলো ।

পল্লী বিদুৎ এলাকায় ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, আমি সবসময় ফুটপাত থেকে জামাকাপড় কিনে থাকি। কম দামে মোটামুটি ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। আমি নিজের জন্য ৬০০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট ক্রয় করেছি। তবে ফুটপাতে কিছু কিনলে পলিতে দেয় আর মার্কেটে শপিং ব্যাগ এটুকুই পার্থক্য। আমি মনে করি ফুটপাত থেকে কিনে আমাদের অনেক সাশ্রয় হয়।

চন্দ্রার বিক্রেতা রাসেল রানা বলেন, শীতের এ সময়টাতে আমাদের প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। দাম কম থাকায় এসব পণ্যের চাহিদা বেশি। আমাদের এখানে ভালো মানের অনেক জিনিস কম দামে পাওয়া যায়।

আমেনা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা জানান, আমি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। দুই ছেলে ও এক মেয়ে আমার। শীত এসেছে তাই তাদের শীতের জামা কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে আসলাম। এখানে কম দামে শীতের জামা পাওয়া যায়।

শীতের কাপড় কিনতে আসা রিকশাচালক সাইদুর বলেন, আমরা অল্প আয়ের মানুষ। বড় বড় শপিংমল থেকে শীতের পোশাক কেনার সামর্থ না থাকাতে ফুটপাত থেকেই কাপড় কিনতে এসেছি। শীত নিবারণে জন্য এখানে মোটামুটি ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ