বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে নয়টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৮৭৭ যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়াসহ ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক দফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বিভিন্ন রেলরুটে অভিযান চালানো হয়।

আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো, ৮০৬/৮০৫ চিলাহাটি এক্সপ্রেস, ৭৬৫ নীলসাগর এক্সপ্রেস, ৭৯৪ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ৭৫৪ সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, ৭৬৪/৭৬৩ চিত্রা এক্সপ্রেস, ৭৫৮ দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ৭৫৬/৭৫৫ মধুমতি এক্সপ্রেস, ৭৬১ সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস এবং ৭১৬ কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফারহান মাহমুদ, কে এম নুরুল আলম, অংশুমান রায় চৌধুরী অপু, ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর শামিমুর রহমান, শফিকুর রহমান, রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষক বরকত উল্লাহ আল-আমিন, আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠুসহ ট্রেন পরিচালক (গার্ড) এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মহান বিজয় দিবসের দুই দিনের ছুটিতে আন্তঃনগর ট্রেনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিনা টিকিটে অনেকে ট্রেনে চড়ে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যায়। তাই এ অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা সাধারণত বিনা টিকিটের যাত্রীদের পরবর্তী স্টেশনে শাস্তিস্বরূপ নামিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হওয়ার কারণেই ভাড়াসহ জরিমানা দিয়েই তাদের গন্তব্য পথে যেতে হচ্ছে।

এসময় ৯টি আন্তঃনগর ট্রেনে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে ৮৭৭ যাত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ভাড়া বাবদ এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং জরিমানা ৯৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা বাবদ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যা চলমান থাকবে বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।

নয়া শতাব্দী/এসএ