ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈশ্বরদীর গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই উদ্যোগ

প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২৫

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য গণকবর ও বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর কেটে গেলেও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের নেই কোনো উদ্যোগ। নেই শহীদের তালিকা, পরিবারগুলো পায়নি শহীদ পরিবারের মর্যাদা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘটেছে নির্মম নৃশংস ঘটনা।

প্রায় ৫ হাজার বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেসময় প্রায় ২০ হাজার অবাঙালি (বিহারি) ঈশ্বরদীতে বসবাস করতেন। এদের অত্যাচারে বাঙালিরা ঈশ্বরদী শহরের যাতায়াত করতে পারতেন না। শহরে বাঙালি গেলেই ধরে নিয়ে হত্যা করা হতো। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিহারিরা ঈশ্বরদী দখলের ২ দিন পর ১৩ এপ্রিল সকালে কর্মকার পাড়ায় চন্দ্রকান্ত পালের বাসায় হামলা করে। চন্দ্রকান্ত পাল, তার দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ, ৬ নাতি নাতনি ও একজন দোকান কর্মচারীসহ ১২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে। সকলকে বাড়ির কুয়ার মধ্যে ফেলে গণকবর দেওয়া হয়।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, একাত্তরের ১১ এপ্রিল পাক সেনাদের আগমণের কথা শুনে কিছু মানুষ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অবস্থান নেয়। তারা ভেবেছিল মুসলিম হওয়ায় মসজিদে হামলা হবে না কিন্তু হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে মসজিদেও হামলা করে। ১২ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ১৯ জনকে প্রেসক্লাব সংলগ্ন কয়লা ভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

আশপাশের মহল্লা থেকেও বাঙালিদের এখানে ধরে এনে হত্যা করে গণকবর দেয়। ঈশ্বরদীতে চিহ্নিত বধ্যভূমি ও গণকবর রয়েছে প্রায় ৩০টি। বধ্যভূমির বাইরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য গণকবর। বধ্যভূমিগুলো ও অসংখ্য গণকবর এখন অযত্ন অবহেলায় আর দৃষ্টি সীমার বাইরে। এসব স্থানগুলো ঘাস ও ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে, গোচারণ ভূমিতে। বাড়িঘরও নির্মাণ হয়েছে। স্বজন হারানো শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যদের দাবি বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে স্মৃতি ফলক নির্মাণের। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ পরিবারের মর্যাদা।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ