ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বামী হত্যার ২০ দিন পর পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার

প্রকাশনার সময়: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪৯

সাভারের আশুলিয়ায় পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে নিজের স্বামী দুরুল হুদাকে হত্যা করেছিল স্ত্রী মেহেরুন্নেসা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল প্রেমিক। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২০ দিন পর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ ও ৫।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে রোরবার (১০ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলায় অভিযান চালিয়ে মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেফতার মতিউর রহমান মতিনের (২৫) বাড়ি নওগাঁর মান্দা থানায়। আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহত দুরুল হুদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাহের আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী মেহেরুন্নেসা ওরফে খাদিজা (২৮) কে নিয়ে আশুলিয়ায় বসবাস করে একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক আলম মিয়ার মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

র‍্যাব জানায়, মেহেরুন্নেসা ও মতিউর রহমান একই পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী দুরুল হুদা এ বিষয় জানতে পারলে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এ কারণে প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে খাদিজা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন তিনি। পরে প্রেমিককে ঘরে ডেকে নেয়। পরে দুরুল হুদার হাত-পা বেঁধে মুখ কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে প্রেমিক। পরদিন ২০ নভেম্বর কারখানা থেকে দুপুরে বাসায় এসে স্বামীর মরদেহ দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে নাটক সাজায় স্ত্রী।

সন্দেহ হওয়ায় পরদিন স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে র‍্যাবের কাছে সব স্বীকার করেন তিনি। এরপর থেকে মতিউর রহমান আত্মগোপনে ছিলেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মতিউর রহমান মতিনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পরকীয়ার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। আমরা আসামিকে নিয়ে র‍্যাব-৫ (রাজশাহী) থেকে আশুলিয়া থানায় ফিরছি। মতিনকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ