গাজীপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। উভয় ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। রোববার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এবং আগের রাতে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কের তালটিয়া এলাকার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে।

নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে আবু তাহের (৫৭) ও লক্ষীপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আবদুল হাই পাটোয়ারীর ছেলে ইব্রাহীম (৫২) এবং গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের খিলগাঁও (কলেজ গেইট) এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে অটোরিকশাচালক উজ্জ্বল হোসেন (২৮)। নিহতদের মধ্যে আবু তাহের ও ইব্রাহীম ঠিকাদার ব্যবসায়ী।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, গাইবান্ধা এলাকার প্রকল্প কাজ পরিদর্শন শেষে একটি প্রাইভেট কারযোগে দুইজন সহকর্মীসহ ঠিকাদার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম ও আবু তাহের ঢাকার মিরপুরে ফিরছিলেন। পথে রোববার ভোরে গাজীপুরের চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে ঘন কুয়াশার কারণে চালক বিভাজক দেখতে না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় তাদের গাড়িটি সড়কের বাঁ পাশের বিভাজকের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে কার আরোহী দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর দুইজন আহত হন। এ ঘটনায় গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

অপরদিকে জিএমপি’র পূবাইল থানার এস আই সাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে লাবিবা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস বেপরোয়া গতিতে নরসিংদী থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে পূবাইলের তালটিয়া এলাকার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে অপ্রশস্থ অংশে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক নিহত হয়। এ ঘটনায় অটোরিকশারোহী আরও তিনজন সুমন হালদার, রাশেদ ও আবুল বাশার আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোচালক উজ্জ্বলকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।