ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষিমন্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা বেড়েছে কয়েকগুণ

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে কোনো নগদ টাকা না থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নগদ টাকা রয়েছে ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৩০ টাকা।

অন্যদিকে, রাজ্জাকের বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বেড়েছে তিনগুণ। শুধু তাই নয় স্ত্রীর নামেও কোনো টাকা নেই বলে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে একাদশ নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের নামে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় কৃষিমন্ত্রী নিজ নামে নগদ ৫৫ হাজার টাকা উল্লেখ করেছিলেন। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এসে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৮৮ গুণ।

অপরদিকে, ৯ম সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় ব্যাংকে জমাকৃত টাকা দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ৪ হাজার ৯৬৯ টাকা। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এসে প্রায় ৯২গুণ বেড়ে ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ টাকা।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রীর নগদ অর্থ ছিলো ৫৫ হাজার টাকা। ব্যবসা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতের ওপর আয় না থাকলেও বাড়ি/দোকান ভাড়া থেকে আয় দেখিয়েছিলেন ৭১ হাজার টাকা। ব্যাংকে আর্থিক জমার পরিমাণ দেখিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৯৬৯ টাকা। আর দশম জাতীয় নির্বাচনে শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতের ওপর আয় না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭২৬ টাকা আয় ছিল। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে কয়েকগুণ বেড়েছে এই খ্যাতের

আয়। তিনি বাৎসরিক এ খাত থেকে আয় করেন ৭৯ হাজার ৩২৫ টাকা। ব্যাংকে আর্থিক পরিমাণও বেড়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকে ছিল ৩ লাখ টাকা। সেখানে একাদশ নির্বাচনে পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকা। এরপর দ্বাদশে এসে পরিমাণ আরও বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ টাকা। তবে একাদশ নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামায় নেই। কৃষিমন্ত্রীর সোনার পরিমাণ বেড়েনি। একাদশ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে ৫ তোলা স্বর্ণ থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনে নেই।

কৃষিমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির হিসেবে মিরপুরে ৩নং সেক্টরে ৫ তলার আবাসিক ভবনের ১/৪ অংশের মালিকানা এবং ফ্ল্যাট রয়েছে ঢাকার লালমাটিয়ার থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তবে একাদশ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মিরপুরের সেনপাড়ার চারটি ফ্ল্যাট ও লালমাটিয়ার ২১৫২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।

একাদশে নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ কাঠা, দক্ষিণ গোড়ানে ০.৮৯ শতাংশ এবং সাভারে ৫ কাঠা জমি, গোড়ান ঢাকায় বি-৩, এ-৭ ও সি-৯ তে ১১০০ বর্গফুটের দুইটি ফ্ল্যাট ও ১২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, সেখানে তিনটি কার পার্কিংয়ের জায়গা, ঝিলমিল প্রকল্পে রাজউককে অগ্রিম ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯০ টাকা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিলো। যা দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।

একাদশ নির্বাচনের হলফনামায় চাকরির কলামে কোনো আয়ের কথা উল্লেখ করেনি। তবে অন্যান্য (সুর্নিদিষ্টভাবে উল্লেখ করিয়া) কলামে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার, সংসদ সদস্য হিসেবে অন্যান্য করমুক্ত আয় ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৫ টাকা এবং মৎস্য চাষ হতে আয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ টাকার কথা উল্লেখ থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় অন্যান্যের ঘরে কিছুই উল্লেখ করেনি। তবে চাকরির কলামে করযোগ্য আয় এবং কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয় ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৬ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় পেশা অবসরপ্রাপ্ত চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার উল্লেখ করলেও দ্বাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতি হিসেবে পেশায় উল্লেখ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ