গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মৌচাক ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা। এই সড়কের অনেক স্থানেই বড় বড় খানাখন্দ ও পানি জমে কর্দমাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালিয়াকৈর একটি শিল্প এলাকা হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এই রাস্তায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারখানা রয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে কারখানায় ভারী যান চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কটির দুরবস্থার কারণে মাঝে মাঝেই মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন উল্টে গর্তে পড়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার চিত্র দেখা যায়। এতে প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
কালিয়াকৈরর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায়, কয়েক মাস আগেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির ১৯ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে সংস্কারের কাজ কিছুদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন খানাখন্দ ও ভেঙে যাওয়া স্থানে দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ও যাত্রীরা জানান, ওই সড়কে দীর্ঘদিন ধরে মৌচাক-ফুলবাড়িয়া সড়কের ভান্নারা, পূর্ব মৌচাক, রেলগেট, ভান্নারা বাজারের দক্ষিণ অংশ, মুরাদপুর, ঠাকুরপাড়া, জামালপুরের উত্তর পাশে ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি এবং কাঁদাযুক্ত হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে।
এটি উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে। এই আঞ্চলিক সড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। শিল্প অধ্যুষিত কালিয়াকৈর উপজেলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি।
ঠেঙ্গারবান্দ এলাকার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘কয়েক মাস আগে রাস্তার কাজ ধরেছিল হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
অটোরিকশা চালক মজিদ বলেন, প্রায় প্রায়ই এই সড়কে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে আর এই দুর্ঘটনার ভয়ে যাত্রীরা সহজে পরিবহনে উঠতে চায় না। এদিকে আবার এরকম রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে কোনরকম সুবিধা পাওয়া যায় না অনেক সময় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সড়কের এই অবস্থার কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই সড়কটি দ্রুত সংস্থার না করলে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগী যাত্রী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ সড়কটির পিচ ঢালাই উঠে ব্যাপক খারাপ অবস্থা হয়েছে। এই সড়কে না পারছি হেঁটে যেতে না পারছি পরিবহনে বসে থাকতে। যখন যানবাহন চলাচল করে তখন ব্যাপক হেলেদুলে গাড়িগুলো যায় মাঝে মাঝে মনে হয় যেন পড়েই গেলাম। কিছুদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের অটো রিকশা উল্টে পা ভেঙ্গেছে। এ রকম ঘটনা যাতে আর না হয়, দ্রুত এই খানাখন্দ ভরা রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাই।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ