ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বামীর ওপর অভিমান করে ৭ দিন বয়সী শিশু সন্তানকে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মা কোকিলা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরখাজুরা গ্রামের আকাশ আলীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা আকাশ আলী কালীগঞ্জ উপজেলার হেলায় গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেনসহ ২ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই নবজাতককে উদ্ধার করেছে।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার ডক্টরস ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন মা কোকিলা খাতুন।
তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় ও খোঁজ-খবর না রাখাই স্বামীর ওপর অভিমান করে ৭ দিন বয়সী শিশু ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছিলাম। স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করায় আমার কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। ক্লিনিকের সব খরচ মেটাতে এ ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিল না।
শিশুটিকে ক্রয় করা সোহাগ আলী বলেন, আমি নিঃসন্তান। শিশুকে লালন-পালনের জন্য তার মায়ের কাছ থেকে কিনে নেই। শিশুর মা ও নানি আনোয়ারা খাতুনসহ এলাকার স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে শিশুটির ক্লিনিকের খরচ ও তার মাকে নগদ ৩০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ৫৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলাম। পরে পুলিশের নির্দেশেই শিশুকে তার মাসহ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেই।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন আকাশ হোসেন। গত ২৮ নভেম্বর তার স্ত্রী সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। আকাশকে না জানিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি সন্তানকে দত্তক দেয়। পরে তার স্ত্রী কোকিলা খাতুন ভুল বুঝতে পারে এবং স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে সন্তানকে উদ্ধার করতে বলেন। সিজারের খরচ ও নগদ ৩০ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করেন ওই মা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ