লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর গত পাঁচ বছরে আয় কমেছে দুই লাখ টাকা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

লালমনিরহাট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতে তার ২ লাখ টাকা আয় কম দেখানো হয়েছে।

হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ৩২ লাখ ৬ হাজার ৪০৬ টাকা। যা ২০১৮ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেখিয়েছিলেন ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৫ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় কমেছে দুই লাখ ২৬ হাজার টাকা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী তার হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষিখাতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া আদায় হয় এক লাখ ১৬ হাজার ৯০০ টাকা, ব্যবসা ৬ লাখ, শেয়ার, সঞ্চয়/ব্যাংক আমানত আট লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ টাকা ও সম্মানী ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আর নিজস্ব সম্পদ হিসেবে দেখিয়েছেন নগদ ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৪ টাকা, ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ দুই কোটি ১৪ লাখ ৪ হাজার ৯৯৭ টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা; বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, বিমান ও মোটরসাইকেল বাবদ ৩৪ লাখ ৬১ হাজার, সোনা, অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি ৩২ হাজার, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ৬০ হাজার ও আসবাবপত্র ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।

কৃষিজমির পরিমাণ ২৫ বিঘা, অকৃষি জমি ২০ শতক, রাজউকে একটি প্লট ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ বিঘা জমির ওপর মৎস্য খামার উল্লেখ করেছেন। পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন বিকম পাস। আরও উল্লেখ করেছেন, ব্যাংকে কোন ঋণ নেই।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসন থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তিনি।

২০১৪ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ২০১৮ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ