ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞার পরও স্থাপনা নির্মাণ চলছে পর্যটন এলাকায়

প্রকাশনার সময়: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় ঘোষিত পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ।

পাকা স্থাপনা নির্মাণের জন্য নদীর মাঝ বরাবর রাস্তার ঢাল কেটে পাকা ভিম তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এতে রাস্তার ঢালে বসানো বড় বড় কংক্রিটের বোল্ডার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।

গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা প্রবাস ফেরত আ. কাদের জমি কিনে সেখানে এ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে আ. কাদের মুঠোফোনে জানান, কিছুদিন আগে তিনি আতিয়ার রহমান খুশি নামের এক দলিল লেখকের কাছ থেকে নতুন ব্রিজের পাশ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর সেখানে দোকানঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কাজ করার বিষয়ে খুশি ভাই আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, আপনি কাজ করেন, আমি সব দেখব।

এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান খুশি বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রশাসন গত বছর নতুন ব্রিজ এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয় হতে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি না। সেটা হলেতো আমাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। তাই আমরা আমাদের দালিলিক সম্পত্তি বেঁচাকেনা করছি এবং সেখানে কাজকর্ম করা হচ্ছে। তবে রাস্তার ঢাল হতে অন্তত ১০ ফুট দূর হতে কাজ করা হচ্ছে। এখানে কারও বাধা দেওয়ার কিছু নেই।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, পদ্মা নদীর নতুন ব্রিজ এলাকা গোয়ালন্দের ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন এলাকা। ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব এমনকি সারা বছরই এখানে ব্যাপক জন সমাগম হয়। স্থানীয় প্রশাসন গত বছর এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকারের উর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করেন। ইতিমধ্যে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনে এলজিইডি ও জাইকার ব্যাবস্হাপনায় বেশ কিছু কাজও করা হয়েছে। আশা করছি সেখানে শীঘ্রই বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে যত্রতত্র স্হাপনা নির্মানের কাজ করা হলে সৌন্দর্য ব্যাহত ও রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। আ. কাদেরকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বললেও তিনি শোনেননি। যে কারণে রবিবার তাকে অফিসিয়ালি নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।

এ সম্পর্কে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ