ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুনামগঞ্জের ৫ আসনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও সহকারী রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রির্টানিং অফিসার দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

এদিন সকাল ১০টা থেকে ব্যাংক বিদ্যুৎ বিটিআরসি, জালালাবাদ গ্যাস, আয়কর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফরের পদস্থ কর্মকর্তা মনোনয়ন প্রার্থী ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৫টি আসনের ৪১টি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রির্টানিং অফিসার দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ।

সুনামগঞ্জ ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান, ঋতেশ রঞ্জন দেব, ড. মো. সামছুল হক চৌধুরী সুনামগঞ্জ ৩ আসনের মো. মাহফুজুর রহমান খালেদ, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের মো. মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবুল ফজল মো. মাসউদ সুনামগঞ্জ ৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনির উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হাজি আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাচ্চু বিশ্বাসসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

রিটানিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ১০ জনের মোবাইল নম্বর ও স্বাক্ষর রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। পরে রির্টানিং অফিসারের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে স্বাক্ষর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সরেজমিনে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বরসহ বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যূতি পান। একারণে ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হাজি আব্দুল জলিলের আয়কর রির্টান, ইনকাম ট্যাক্স ও টিআইএন নম্বর না থাকায়, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাচ্চু বিশ্বাসের মনেনয়নপত্রে হলফ নামা, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী তিনি নিজেই হওয়ার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনির উদ্দিন ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায় তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সুনামগঞ্জের ১ আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান, গণফ্রন্ট প্রার্থী মো. জাহানূর রশীদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি হারিছ মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী নবাব সালেহ আহমদ, তৃনমূল বিএনপি প্রার্থী মো. আশরাফ আলী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।

সুনামগঞ্জ -২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, গণতন্ত্রী পার্টি মিহির রঞ্জন দাস ,স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার মনোয়ন বৈধ হয়েছে।

সুনামগঞ্জ- ৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাকের পার্টি মো.নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি তৌফিক এলাহী ও জাতীয় পার্টি তালুকদার মো. মকবুল হেসেনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

সুনামগঞ্জ -৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্, বিএনএমের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল কবির ইমন, জাসদ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবু তাহের মো. রুহুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ দিলোয়ারের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

সুনামগঞ্জ ৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিবুর রহমান মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাজমুল হুদা হিমেল, বিএনএফের আশরাফ হোসেন, জাকের পার্টি শেখ ইয়াকুব আলী, গণ-ফোরামের প্রার্থী আইয়ুব করম আলী, সুপ্রিম পার্টির আবু সালেহ, পিপলস্ পার্টি আজিল হক।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবারক হোসেন বলেন, আমি কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উচ্চ আাদালতে আপিল করব। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নাজমূল হুদা বলেন রির্টানিং অফিসার প্রার্থী ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেছেন। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংক ও সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

রির্টানিং অফিসার অফিসার দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে কিছু প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছ। কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্রের তথ্যে কিছু সংশোধন হয়। তাই আগামীকাল এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৫ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন। প্রয়োজন হলে মহামান্য হাইকোর্টেও যেতে পারবেন প্রার্থীরা।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ