নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাসের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে বেসরকারি ক্লিনিকের এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয় ওই পরিবারের আরও ৪ জন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে মারা যান তিনি। এর আগে গত শনিবার রাতে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহত নার্স তাসলিমা বেগম ওই এলাকার কবির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। বাড়ির দুটি ইউনিটের মাঝে কবির হোসেন দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তাসলিমার ইউনিটের দুটি কক্ষের একটি কক্ষে তিনি একা থাকতেন। আরেকটি কক্ষে থাকতেন দুই ছেলে মেয়ে। পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন কবিরের ছোট আরেক স্ত্রী।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ ঘরের ভিতর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। সাথে সাথে ঘরের তাসলিমার কক্ষে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয় তাসলিমা বেগম। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আগুনে দগ্ধ হয় তার স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন। আশপাশের লোকজন একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের রাতেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তাসলিমা বেগম।
গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে জমাট গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। অনেকে বলছে পরিকল্পতিভাবে তিনি কর্মস্থলে থাকার সময় গ্যাসের চুলো ছেড়ে রাখা হয়েছিল। আবার রান্নাঘর ও পাশের ঘরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হওয়া নিয়েও চলছে নানা সমালোচনা। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, আগুনে নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর পরিবারের দাবি ছিল বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের। কিন্ত বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ