শরীয়তপুরের সদরে রাতের আঁধারে বৃদ্ধ কৃষকের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনসহ শতাধিক পেঁপে, লাউ ও কুমড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরযাদবপুর গ্রামের ঘোলেরচক নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কোব্বাছ মোল্যা (৭০) চরযাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের ভরণপোষণের জন্য অন্যের জমি ও পুকুর লিজ নিয়ে চাষাবাদ করেন কোব্বাছ মোল্যা। এ বছর বাবুল মোল্যা ও ফরহাদ মোল্যাদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে পুকুর লিজ নিয়েছেন। সেই পুকুরে মাছ চাষ এবং পুকুর পাড়ে ১১০টি পেঁপে, ২০০টি কুমড়া ও ১৫০টি লাউ গাছ রোপণ করেন তিনি। পেঁপে গাছে ফুল ও লাউ গাছে হাজারেরও বেশি লাউ ধরেছে।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চরচটাং গ্রামের আলমগীর মোড়ল তার ভাই ও ভাতিজাদের নিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ও পুকুর পাড়ে থাকা এসব গাছ কেটেছেন। এতে ৪ লক্ষাধিক টাকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৃদ্ধ কৃষক কোব্বাছ মোল্যা।

কোব্বাস মোল্যা জানান, আলমগীর মোড়লের ভাইয়ের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। জামাতার সাথে আলমগীরের বিরোধ কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়েছিল। আমার মেয়েকে আলমগীর মারধর করে আবার আমার মেয়েও তাকে অপমান করে। সেই থেকে আলমগীর আমার ক্ষতি করার চেষ্টা শুরু করে। শুক্রবার রাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আবার পুকুরের পাড়ে লাগানো পেঁপে, লাউ ও কুমড়া গাছ কেটে ফেলেছে। আমি তাদের দেখেছি।

মরামাছ ধরতে এবং নষ্ট করা ফসল দেখতে এসে উপস্থিত লোকজন জানায়, কোব্বাছ মোল্যা সহজ-সরল মানুষ। সে বৃদ্ধ বয়সেও খুব কষ্ট করে সংসার চালায়। মানুষের জমি লিজে নিয়ে চাষাবাদ করেন। তার পুকুরের মাছ ধ্বংস করে, গাছ কেটে যে ক্ষতি করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার।

অভিযুক্ত আমলগীর মোড়ল ও ইকবাল মোড়ল জানায়, তাদের সাথে পারিবারিক বিরোধ আছে তবে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাদের সাথে মিথ্যাচার করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর