ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিখোঁজের ১৫ দিন পর ঘাটে ফিরলো ভাসমান ৭ জেলে

প্রকাশনার সময়: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৫

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দর ঘাটে ফিরেছেন ৭ জেলে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোলার এফবি আরাফাত ট্রলারের মাঝি বশু তাদের উদ্ধার করেন।

এর আগে মৎস্য শিকারে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে সমুদ্রতীর থেকে ২৬ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ডুবে যায় এফবি রহমতউল্লাহ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার।

এ সময় নিমজ্জিত ট্রলারটিতে থাকা ৭ জেলের জীবন রক্ষায় বাঁশের সাথে দড়ি বেঁধে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিলেন। তবে ৪দিন ভাসমান থাকার পর ভোলার এফবি আরাফাত নামের একটি মৎস্য ট্রলারের মাঝি বশু মিয়া তাদের উদ্ধার করেন। পরে ৭ জেলে আবু সালেহ. আবদুর রহমান, তানমুন, তামিম, রাজিব, সালাম ও হৃদয়কে মহিপুর ঘাটে নিয়ে আসেন ভোলার জেলেরা। উদ্ধার হওয়া জেলেদের সকলের বাড়ি কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে তাদের মধ্যে মাঝি তানমুন ও জেলে আবদুর রহমান অসুস্থ থাকায় তাদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া বাকি জেলেরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলার মালিক রহমতউল্লাহ। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরছিল মাঝিসহ ৭ জেলে। তবে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে সমুদ্রের অভ্যন্তরে পাইপ বয়া এলাকায় আমার ট্রলারটি ডুবে যায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে জেলেরা বাঁশের সাথে কন্টেইনার বেঁধে ৪ দিন ভাসার পর ভোলার একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। তারাই আজ শুক্রবার ৭ জেলেকে ঘাটে নিয়ে এসেছে। তবে তার ট্রলারটির কোনো সন্ধান পাননি বলে জানান তিনি।

ভোলার এফবি আরাফাত ট্রলারের মাঝি বশু জানান, সাগরের মধ্যে বাঁশে বাঁধা ভাসমান অবস্থায় আমরা ৭ জনকে উদ্ধার করি। তবে উপরওয়ালার ইচ্ছায় তারা অক্ষত অবস্থায় ছিল। কিন্তু অনেকটা দুর্বল ছিলেন জেলে ভাইয়েরা।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে নিখোঁজ থাকা সব জেলেরাই এখন উদ্ধার হয়েছে। মৎস্য বিভাগ থেকে আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ