ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কক্সবাজারে পাহাড় কেটে সড়ক সংস্কার

প্রকাশনার সময়: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২৬

কক্সবাজার সদরে সড়ক সংস্কারের নামে দুটি পাহাড় কেটে বালি মাটি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার বজল আহমদের বিরুদ্ধে। গত ১৫/২০ দিন ধরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিন জানারঘোনা ও দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে বালি মাটি নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাহাড় দুটির অধিকাংশ কেটে ফেলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ের দখলদার মালিক ও ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নজরুল কনস্ট্রাকশন ও রহিমা এন্টারপ্রাইজ এর নামে কক্সবাজার সদর উপজেলার জানারঘোনা-ঘোনারপাড়া সড়ক এবং দক্ষিণ হাজিপাড়া খাদ্যগুদাম সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার বজল আহমদ।

এলাকাবাসী জানান, সড়ক সংস্কারে যে বালি ব্যবহারের কথা রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বজল আহমদ সড়কের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা দুটি বিশাল পাহাড় কেটে পাহাড়ের বালি মাটি ব্যবহার করছেন।

দক্ষিণ জানারঘোনা ফুটখালী এলাকার রহমত উল্লাহ জানান, সড়কের ১০০ গজ দূরত্বে আতিক উদ্দিন চৌধুরীর দখলে থাকা বিশাল একটি পাহাড় কেটে বালি মাটি নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার বজল আহমদ। অতি লোভে বজল আহমদ সরকারি ইজারার বালি ব্যবহারের পরিবর্তে পাহাড় কেটে বালি মাটি ব্যবহার করছেন।

পাহাড় কাটার বিষয়ে ঠিকাদার বজল আহমদ বলেন, ‘আমি সড়ক সংস্কার কাজে যে বালি ব্যবহার করছি তা শ্রমিকরা কোথা থেকে আনছে তা আমার দেখার বিষয় নয়, আমার কাজ হলো সড়ক সংস্কার করা। এছাড়া বালির উৎস হলো পাহাড়। সবাই তো এভাবেই করছে।’

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে জানারঘোনা ও হাজিপাড়া এলাকায় পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ঝিলংজা বন বিট কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘পাহাড় কাটার স্থানে গিয়ে খুঁটি দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি কক্সবাজারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দাবি করা হচ্ছে। তারা একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করেছে। তাদেরকে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।’

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এরপর পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ