শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চরজাদবপুর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীর তীর রক্ষায় কাজ করে চলছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিক তার বিপরীত তীরের খাস জমি থেকে রাতের আধাঁরে মাটি কেটে ইট ভাটায় নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। মাটি নেওয়ার ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। নদী ভাঙনের আশঙ্কায় থাকা বাড়ি ও জমির মালিকগণ নদীর তীর থেকে মাটি কাটা বন্ধে আবেদন জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রব সরদারের চাচাতো ভাই বারেক সরদার। তিনি চরজাদবপুর এলাকায় নদীর উত্তর তীর থেকে রাতের আধাঁরে মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করে। এতে তিন ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

ক্ষতির আশঙ্কা করে আবু আলেম কাজী নামে এক কৃষক জানায়, নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড শত কোটি টাকা ব্যয় করছে। অপর দিকে বারেক সরদার নদীর তীরের খাস জমির মাটি রাতের আধাঁরে কেটে নিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করে। নিকটবর্তী মালিকদের জমি দখলেও নেন তিনি। রাস্তা কেটে নিজের জমি বাড়ায়। এখন সরকারি খাস জমির মাটি বিক্রি করছে। বারেক ভালো মানুষ না। তাছাড়া আবার মেম্বারের ভাই হওয়ায় আমরা কিছুই বলতে পারি না। এখন আমাদের ফসলি জমিতে ভাঙন ধরেছে। যে কোনো সময় আমাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ওহাব আলী মৌলভীর ছেলে মামুন তহশিল অফিসে অভিযোগ করেছেন।

মোতালেব খানের ছেলে রুবেল খান বলেন, বারেক সরদার লোক খারাপ। অকারণে মানুষের সাথে বিবাদ করে। ভয়ে কেউ কিছু বলে না। এখন রাতের আঁধারে নদীর তীর থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে।

অভিযুক্ত বারেক সরদার জানান, নদীর তীরের মাটি বিক্রি করেছেন তিনি। সেই মাটি কেটে ট্রলারে করে ইট ভাটায় নেন। তহশিলদার এসে বাধা দিয়েছে। তিনি আর নদীর তীর থেকে মাটি কাটবেন না। তবে জমি তার মালিকানা দাবি করেছেন। প্রতিবেশীদের জমি দখলের বিষয়ে বলেছেন, চাষ করার সময় ট্রাকটরচালক অন্যের জমিতে ঢুকে চাষ করেছে। এতে তার কোনো সম্পত্তি ছিল না। রাস্তা কেটে জমি বাড়ানোর বিষয়েও তিনি বলেছেন তার জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা করেছে। তাই তিনি রাস্তার কিছু অংশ ছেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা আংগারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীর থেকে খাস জমির মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করছে। আমরা তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ