ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ কলেজের কেউ পাস করেনি

প্রকাশনার সময়: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৬

২০২৩ সালের সকল শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় দেশের ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাসের সংখ্যা শূন্য এবং চারটিতে পাস করেছে মাত্র একজন করে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার ওয়েব ভিত্তিক একটি ফলাফলের তালিকা দেন। সেই তালিকায় দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ঠাকুরগাঁওয়ের ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন ফলাফল।

একজনও পাস করেনি যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-মোড়লহাট জনতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাজীপুর কলেজ, কদমরসুল হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজ।

একজন করে পাস করেছে যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান হলো- রত্নাই বগুলাবাড়ী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাশগাড়া আইডিয়াল কলেজ, ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ১৪ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ৯৫৬ জন, ৫টি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৩৫ জন ও ১১টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল ও বিএম শাখায় ৪ হাজার ৮০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সদর উপজেলার কদম রসুল হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, ‘আমাদের কলেজ থেকে শুধু মানবিক বিভাগ থেকে মোট ৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ পাস করতে পারেনি।

পাস না করতে পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা তেমন কলেজে আসে না ও ক্লাশ করতে চায় না। শিক্ষকরা প্রতিদিন কলেজে আসলেও ক্লাশে তেমন ছাত্র-ছাত্রী আসতো না। আবার যারা আসতো তাদের মধ্যে শুধু মাত্র ৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি প্রায় আরও ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ-ই করেনি। পড়াশোনা না করে কি পরীক্ষায় পাস করা যাবে? যারা পরীক্ষা দিয়েছে তারা হয়তো ভালোভাবে পড়াশোনা করেনি। এ কারণে হয়তো তারা পাস করতে পারেনি।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জেলায় মোট পাস ফেল এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার। তিনি বলেন,‘মোট পাস ফেল ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল উল্লেখ করে বোর্ড আমাদের ফলাফল প্রেরণ করেন না। আমাদেরকে সেগুলো হিসাব করে বের করতে হয়। তাই এই মুহূর্তে সংখ্যায় বলা যাচ্ছে না।

কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করেছি মাত্র কয়েকদিন হচ্ছে।’ তাই তিনি এ বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করেননি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ