নাটোরের লালপুরে মাহমুদা আক্তার বীথি (২৬) নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি মহল্লার তোফাকাটা মোড় এলাকার মজিবর রহমানের আম বাগান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহমুদা আক্তার বীথি উপজেলার বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে। তিনি গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদা আক্তার বীথি ক্লিনিকের ডিউটি শেষে বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি মহল্লার তোফাকাটা মোড় এলাকার মজিবর রহমানের আম বাগানে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
মুক্তার ক্লিনিকের পরিচালক মো. মুক্তার হোসেন বলেন, ওই নারী তার ক্লিনিকে ডাক্তার আনোয়ার হোসেনের আল্ট্রাসনোগ্রাফি সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিউটি শেষে তিনি ক্লিনিক থেকে বাড়ি চলে যান। সকালে তার মরদেহ পাওয়ার খবর জানতে পারেন।
নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ক্লিনিকে যান। কিন্তু ডিউটি শেষে রাতে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুঁজি করতে থাকেন। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। দুই বছর আগে জামাইয়ের সাথে তার তালাক হয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে সিআইডি তদন্ত দল হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে নেমেছে। যতদ্রুত সম্ভব দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ