সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে মামলা

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৯

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পথ্য কেনার দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক ঠিকাদার। সর্বনিম্ন দরদাতাকে পথ্য সরবরাহের কার্যাদেশ না দিয়ে বেশি দর দেওয়া ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে। এর ফলে সরকারের দুই কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালকসহ কাজ পাওয়া ঠিকাদারের প্রতি সমন জারি করেছেন।

গত ২৯ অক্টোবর মামলাটি করেছেন ইকবাল হোসেন নামের এক ঠিকাদার। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স মো. আজাদ আলী। মামলার আরজিতে রামেক হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূর ট্রেডিং করপোরেশন, মেসার্স শফিকুল এন্টারপ্রাইজ ও আবদুস সেলিমকে বিবাদী করা হয়েছে। রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত আগামী ২৯ নভেম্বর বিবাদীদের আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পথ্য ও স্টেশনারি সামগ্রী কেনার জন্য গত ২২ আগস্ট দরপত্র আহবান করে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. আজাদ আলী পাঁচটি গ্রুপের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। ২৪ সেপ্টেম্বর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি মৌখিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স মো. আজাদ আলীর নাম ঘোষণা করে।

কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে জানায়, পিজি৩-১, পিজি৩-২ ও পিজি৩-৫-এ সম্পূর্ণ কাগজপত্র দাখিল, গ্রুপ ‘এ’-এর ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে ব্যাংকের কাগজের আসল কপি না দিয়ে ফটোকপি দেওয়া এবং গ্রুপ ‘ডি’-এর ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকার কারণে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি মেসার্স মো. আজাদ আলীকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এর ফলে পরবর্তী নিম্ন দরদাতাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

ঠিকাদার ইকবাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। গত বছরও রামেক হাসপাতালের পথ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছিলাম। সুতরাং আমি ভালো করেই জানি দরপত্রের সঙ্গে কী ধরনের কাগজপত্র লাগে। সব কাগজই দেওয়া হয়েছিল।আমার কাগজপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছে।’

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘ঠিকাদাররা কাজ না পেলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দাঁড় করান। এটাও তাই। আমরা সব নিয়ম মেনে কার্যাদেশ দিয়েছি। দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত কিছু ফরম আছে, এই ফরম ফলো করে দরপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু এই ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতো সব কিছু করেছিলেন। তাই বাদ পড়েছেন। মামলা করেছেন, সমন পেয়েছি, আমরা কোর্টে জবাব দেব।’

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ