শরীয়তপুরে পুলিশের সামনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের হাতে এক ব্যবসায়ী ও একটি পরিবার নির্যাতিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষই থানায় মামলা করতে চাইলেও সময় নিচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) শরীয়তপুর সদরের মনোহর বাজার মোড় সংলগ্ন পূর্ব কাশাভোগ গ্রামের আব্দুল মজিদ ভূইয়ার বাড়িতে মিলন হিজড়াসহ অজ্ঞাত ১৪/১৫জন ২ হাজার টাকা দাবি করলে টাকা না দেয়ায় মজিদের স্ত্রী রেখা আক্তারকে মারধর শুরু করে।
এসময় প্রতিবেশী আয়াত আলী হিজড়াদের এসব কাণ্ড না করতে বলেন। পরবর্তীতে আয়াত আলীর দোকানের সামনে এসে তাকে মারধর করে তৃতীয় লিঙ্গের ওই দল।
আয়াত আলী গুরুতর আহত হলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহত আয়াত আলী জানান, ‘প্রতিবেশীর বাড়িতে হৈ হুল্লোর শুনে আমি সেখানে গিয়ে দেখি মজিদের স্ত্রীকে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন লাকড়ি দিয়ে মারধর করছে, আমি তাদেরকে নিষেধ করায় তারা পরবর্তীতে এসে আমাকেসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে।’ তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘মিলন হিজড়া না। ওর সন্তান রয়েছে।’
স্থানীয় ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী তারা মিয়া বলেন, ‘দুইজন পুলিশের সামনে আয়াত আলীকে মারধর করলেও তারা দুইজন ওদের থামাতে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।’ এ বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজে।
তবে তৃতীয় লিঙ্গের ঐ দলের দলপতি মিলন সব অস্বীকার করে বলেন, ‘সব মিথ্যা কথা। ওরাই আমাদেরকে মারধর করেছে।’
উল্লেখ্য মজিদের সন্তান জন্ম নিয়েছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। সন্তান জন্ম উপলক্ষে মিস্টি খেতে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন কিছু টাকা দাবি করলে সামর্থ না থাকায় মজিদ তা দিতে অসম্মতি প্রদান করে। অনেকদিন যাবত ঘোরাঘুরি করেও টাকা না পাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ‘উভয় পক্ষের অভিযোগ শুনেছি, তাদেরকে থানায় ডাকা হয়েছে।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ