ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬

স্কুলছাত্র শিমুল হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৬

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্র রবিউল ইসলাম শিমুল (১৪) হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ইলিয়াস, সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান কালা মাসুদ, উত্তর জামিরতলী গ্রামের নুর মোহাম্মদ লিটন, পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সাদ্দাম, আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের গোবিন্দের খিল গ্রামের শাহরিয়ার রাশেদ। রায়ের সময় ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্য পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী শিমুল প্রতাফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শিমুলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও মা শিরি আক্তার মারা যাওয়ার পর থেকে সে নানার বাড়িতে থাকতেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলাম শিমুল মামলার বাদী কাজী মামুনুর রশীদ বাবলুর ভাগনে। ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল মামুনুর রশীদ বাবলু অসুস্থ হয়ে লক্ষ্মীপুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাড়িতে তার মা-ভাবি ও ভাগনে (রবিউল ইসলাম শিমুল) ছিল। ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অস্ত্রসহ মুখোশধারীরা চন্দ্রগঞ্জ দেওপাড়া গ্রামের বাড়িতে ঢুকে। তাদের ভয়ে বাবলুর মা ও ভাবি পালিয়ে যায়। কিন্তু শিমুল পালায়নি। তখন সন্ত্রাসীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করলে শিমুল বাধা দেয়। এতে তারা তাকে তুলে নিয়ে দেওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার ১৪ দিন পর ৫ মে বাবলু বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলাম আদালতে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে চন্দ্রগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দুইজন উপ-পরিদর্শক, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক পুলিশ পরিদর্শক ও ডিবির চারজন উপপরিদর্শক মামলাটি তদন্ত করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

মামলার বাদী ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বলেন, তাজু আইনি লড়াইয়ে জিতেছে। আদালত তাকে খালাস দিয়েছে। এতে আমার কিছু বলার নেই। আমি আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ