ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় ৭ কোটি টাকার সেতুতে

প্রকাশনার সময়: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৪২
ছবি- নয়া শতাব্দী

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও কাজে আসছে না এলাকাবাসীর। সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে। সেতু নির্মাণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছেন সাঁকো। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কেশরঘাট সতী নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুতে এমন চিত্র দেখা মিলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ এক বছর আগে শেষ হলেও ভূমি জটিলতার অজুহাতে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা জানায়, সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর সুফল ভোগ করতে পারছেন না তারা।

এলাকার মজিবুর রহমান জানান, কেশরঘাটে সেতু না থাকায় এতদিন নৌকা, বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে হয়েছে। বর্ষাকালে ভোগান্তি বেশি হয়। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে সরকার একটি সেতু নির্মাণ করে দিলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতু কোনো কাজে আসছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ মার্চ ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে কেশরঘাটে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কাজ শেষ হওয়ার কথা। সময় অনুযায়ী ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ শেষ হলেও ভূমি জটিলতার কথা বলে নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক।

স্কুল শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, বাঁশের সাকো থাকাকালীন সময়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হওয়া লাগতো। বর্তমানে সেতু আছে তবে রাস্তা নেই। ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠতে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়ক স্থাপন করা হলে দুঃখ-দুর্দশা শেষ হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে অথচ সংযোগ সড়ক নির্মাণের খবর নেই। সড়ক নির্মাণ হলে আমরা সেতুর সুবিধা ভোগ করবো।

কেশরঘাট এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, সেতু হলেও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ। এতে পূর্বের মতোই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কেশরঘাট ব্যতিত জেলা শহরে যেতে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। ফলে সময় ব্যয় হয় বেশি।

সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহ জামাল বলেন, নির্ধারিত সময়ে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ভূমি জটিলতা থাকায় সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি। শিগগিরই সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি ভূমি জটিলতা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর দুইপাশের সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

নয়া শতাব্দী/একে/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ