ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাশিয়ায় আউসোটপ উৎপাদন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল

প্রকাশনার সময়: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:০১ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:০৩

কৃষিজাত পণ্যের রেডিয়েশন-ভিত্তিক প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং গবেষণার লক্ষ্যে রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশে আরপিপি-৩৫০ গামা রেডিয়েশন স্থাপনার আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবস্থিত একটি আইসোটপ উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্সটিটিউট অব রেডিয়েশন অ্যান্ড পলিমার টেকনোলজিসের প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমীন খান। প্রতিনিধি দলকে স্থাপনাটি ঘুরে দেখানোর পাশাপাশি আইসোটপ, বিশেষ করে কোবাল্ট-৬০ এর উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রসাটমের গণমাধ্যম শাখা থেকে প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

কারখানা পরিদর্শন শেষে রুহুল আমীন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়া পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং রাশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশের মাল্টিফাংশনাল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রগুলো এবং নিউকিয়ার মেডিসিনের জন্য আইসোটপ সরবরাহ। রসাটমের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে একটি গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপনের পরিকল্পনা করছি। এ জাতীয় রিয়্যাক্টর থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোতে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।’

রসাটমের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ রসএনার্গোএটমের উপ-মহাপরিচালক নিকিতা কনস্তানতিনোভ জানান, ‘রাশিয়ায় রেডিও আইসোটপ উৎপাদনের মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা পালন করছে রসএনার্গোএটম। বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চ্যানেল রিয়্যাক্টরে উৎপাদিত স্টেরিলাইজেশন কোবাল্টের শেয়ার খুব শীঘ্রই ৩০ শতাংশে উন্নীত হতে যাচ্ছে।’

লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেডিয়েশন টেকনোলজি বিভাগের প্রধান আলেক্সি কন্দ্রাতিয়েভ জানান, ‘আমাদের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত আইসোটপ গত ২০ বছরের অধিক সময় যাবৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। জইগক-১০০০ রিয়্যাক্টরের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত না করে এটি বিরতিহীনভাবে আইসোটপ উৎপাদন করতে সক্ষম।’

রসএনার্গোএটম উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে বেশ কিছু আইসোটপ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন শিল্পে, যেমন খাদ্য, মেডিসিন এবং পরিবেশগত কিছু সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, কোবাল্ট-৬০ বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রীর স্টেরিলাইজেশনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও এই আইসোটপটি বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের ডিজইনফেকশন ও সেলফ লাইফ বৃদ্ধি ও পদার্থের পলিমার গুণাবলি পরিবির্তনের কাজে বহুল ব্যবহৃত।

মেডিকেল আয়োডিন-১২৫ এবং আয়োডিন-১৩১ থাইরয়েড ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সিন্টিগ্রাফি এবং সিঙ্গেল-ফোটন টমোগ্রাফিতে টেকনিশিয়ান-৯৯এম আইসোটপ ব্যবহৃত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সামারিয়াম- ১৫৩ নামক আইসোটপটির উৎপাদন শুরু হবে। রাশিয়ার কুর্স্ক এবং স্মলেন্সক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও আইসোটপ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ