ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে বাড়ির উপরে পড়া ঝাউগাছ কেটে সরানোর সময় বন বিভাগের কর্মীদের মারধরে ৫ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাগানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বাগানপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে নুর আলম (২২), নজির আহমদের ছেলে রহিম (২৭), দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (৩৫), দিলদার বেগম (৩২), শফিকা আকতার (২৫)।
আহতদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি। পরে দুদিন হয়ে গেলেও এসব ঝাউগাছ না সরানোয় দুর্গত মানুষরাই কাজ শুরু করে। ঝাউগাছগুলো কেটে সরানোর সময় বনবিভাগের কর্মীরা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।
নুর আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে প্রতিটি ঘরে ৪ থেকে ৫টি ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। বুধবার সারাদিন অপেক্ষা করেছি, জনপ্রতিনিধিকেও বলেছি। কিন্তু কেউ আসেনি সরানো জন্য। তাই বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার নিজেরা ঘরের উপরে উপড়ে পড়া ঝাউগাছগুলো কেটে সরানোর কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পোষাকধারি বন বিভাগের ৪ জনসহ মোট ৭ জন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি দিয়ে আঘাত শুরু করে। এক পর্যায়ে গাছ কাটার মেশিনও কেড়ে নেয়।
মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, সমিতি পাড়ার বাগান পাড়ায় ২২০টি পরিবার বসবাস করে। এখানে প্রতিটি ঘরে ৪টির অধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। এতে ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের তারও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে গাছগুলো কেটে সরানো হয়। কিন্তু হঠাৎ বন বিভাগের এমন আচরণ কোনোভাবে কাম্য নয়। বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বন বিভাগ এসব গাছ কেটে সরানো কথা। তা করেনি ২ দিন ধরে। কিন্তু দুর্গত মানুষ নিজের ঘরের উপর থাকা গাছ কেটে সরাতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ