ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন মিয়া শরীফ (১৮) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের মনাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন মিয়া শরীফ ওই গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে ও শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত ছিল।
আটক এরশাদ (৪০) একই গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে।
শরীফের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী তরিকুল জানায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় সে এবং নিহত শরীফ ও আরমান তিনজন মিলে মনাটি বাজারে চুল কাটার উদ্দেশ্যে বের হয়। এসময় প্রতিবেশি এরশাদের বাড়ির সামনে গেলে ঘাতক এরশাদ পথরোধ করে দাঁড়ায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এরশাদ কোমর থেকে ছুরি বের করে শরীফের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। তখন তারা ভয়ে পালিয়ে যায় ও কিছু দূর গিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। এসময় প্রতিবেশিরা এসে শরীফকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ পর শরীফ মারা যায়।
শরীফের দাদা ইনতাজ আলী জানান, কয়েক বছর আগে শরীফের বাবা সবুজকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এরশাদ। এ মামলায় সে কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়। শরীফকে সে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি নারী জানান, এরশাদ মাদক সেবন ও বিক্রি করে। বাড়ির পাশে মনাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রী ও প্রতিবেশী নারীদের সে উত্যক্ত করে, রাতে বিভিন্ন মহিলার ঘরে হামলা করে। এলাকায় সারাক্ষণ আতঙ্ক ছড়িয়ে রাখাই এরশাদের কাজ।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, এরশাদের নামে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগেও তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে ছিল।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া জানান, শরীফ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ