ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালিয়াকৈরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুর 

প্রকাশনার সময়: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ২১:০৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় ৫ ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার পূর্বানী গ্রুপের করিম টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা সর্বনিম্ন মূল বেতন (বেসিক) ১৫ হাজার টাকা করার দাবিতে সকাল ৯টার দিকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা কারখানা থেকে রাস্তায় বের হয়ে আসেন। এ সময়ে আশপাশের লগোজ অ্যাপারেলস, হাইড্রো অক্সাইড সোয়েটার কারখানা, এপিএস অ্যাপারেলস, বে-ফুটওয়ার কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বে-ফুটওয়ার কারখানায় দরজা জানালার কাচসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করেন। পরে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে ওই মহাসড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন পথে চলাচলকারীরা। পুলিশ অবরোধকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে। শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে জেলা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। দুপুরের দিকে পুলিশ মহাসড়কের ওপর থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ প্রায় ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দুপুর দুইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আন্দোলনরত একাধিক শ্রমিক বলেন, ২০১৮ সাল থেকে আমাদের হেলপারের বেতন ৮ হাজার এবং সুপারভাইজারের বেতন ১১ হাজার টাকা করা হয়। এরপর আর কোনো বেতন বাড়ানো হয়নি। দ্রব্যমূল্যের যে দাম তাতে আমাদের জীবন চলছে না। চাল, তরকারি, কাপড়, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর মূল্য বেড়েছে। বেড়েছে বাসা ভাড়াও। এ অবস্থায় আমাদের বেতন বাড়ানোর জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ