কক্সবাজারের উখিয়ার সাংবাদিক জসিম আজাদকে অপহরণের ২ ঘণ্টা পর মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে র্যাব-১৫ এর সিপিজি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ার বিল এলাকার ধান খেত থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এর আগে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উপজেলা হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন এলাকার জাদিমুরা থেকে তাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
সাংবাদিক জসিম আজাদ দৈনিক ভোরের কাগজের উখিয়া প্রতিনিধি ও উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক শফিক আজাদ।
তিনি জানান, ‘উখিয়া সদরে অবস্থিত অনলাইন প্রেস ক্লাবে সহকর্মীর জন্মদিনে কেক কাটা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন জসিম আজাদ। অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।’
এদিকে অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে উখিয়া থানা পুলিশ ও র্যাব-১৫ সদস্যরা সাংবাদিক জসিম আজাদকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান, মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হই ভিকটিম জসিম আজাদ রাজাপালং হাসপাতালের আশেপাশের যেকোনো স্থানে তার মোবাইল সুইচ অফ হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই এলাকাকে টার্গেট করে অভিযানে যায়। পরে রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ারবিল নামক স্থানের ধানখেত থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। র্যাবের অভিযানের খবর জানার পরেই দুর্বৃত্তরা সাংবাদিক জসিম আজাদকে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে অপহৃত সাংবাদিকের সহকর্মীরা জানান, জসিম আজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছিল। তার শরীরের নানা স্থানে মারাত্মক জখম রয়েছে। উদ্ধারের সময় সেলিম নামের এক সন্ত্রাসী অপহরণকারীকে তিনি চিনতে পেরেছে বলে জানা গেছে।
মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদকে উখিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ভিকটিম জসিম আজাদ জানান, বাড়ি ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত আমাকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়ার রাজাপালং আলিমুড়া নামক স্থান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করার পর অজ্ঞান করে রাখেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি আমার সহকর্মীরা জানলে তারা থানা পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় এবং তাদের অভিযানের মুখে অপহরণকারী দুর্বৃত্ত আমাকে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ