ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চার দিন পর ফিরলেন সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:২১

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সতর্ক সংকেত জারি থাকায় সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকেপড়া সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটক চার দিন পর ফিরেছেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে এমভি বার আউলিয়া নামে জাহাজে করে নিরাপদে টেকনাফে ফিরেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজসহ নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে শনিবার সকালে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এ নৌপথে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে আরও একটিসহ আজ থেকে দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৪১৪ পর্যটক নিয়ে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের জেটিতে নোঙর করে। আবার বেলা তিনটার দিকে আটকেপড়া সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটকসহ আজ নতুন করে বেড়াতে যাওয়া আরও প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক নিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছায়। তবে আড়াই শতাধিক পর্যটক রাত যাপন করার জন্য সেন্টমার্টিনে রয়ে গেছেন।

গত চারদিন ধরে আটকে থাকা ওই পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৭৭ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং নীলফামারী মেডিকেল কলেজের ৩৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওই পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন। তারাও বিকেলে এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে টেকনাফে ফিরেছেন বলে জানান সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

জামালপুরের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রেজওয়ানুর রহমান বলেন, স্ত্রীকে সঙ্গে করে বেড়াতে গিয়ে চারদিন আটকা পড়েন। শুধু আমরা নয়, প্রায় চার শতাধিকের মতো পর্যটক আটকা পড়েছিল। সেন্টমার্টিন দ্বীপের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার পাওয়া যায়নি। ডাল, আলুভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি দুই বেলা। শুধু আমরা নয়, দ্বীপের মানুষের একই অবস্থা ছিল। তেমন কোনো সমস্যা না হলেও কিছুটা ভয় তো ছিলই।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ফেরদৌস আরা ও আলী হোসেন বলেন, আটকা পড়ার সময় সেন্টমার্টিনে খাদ্যপণ্যের সংকট ছিল। ওইসময় ডিম না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের খাবার নিয়ে খুবই কষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি টাকা-পয়সা নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করার পর শনিবার সকাল থেকে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। বিকালে জাহাজ যোগে পর্যটকরা টেকনাফ ফিরেছেন।

ইউএনও বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ ও পণ্যবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল অনুমতি দেওয়া হলেও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ