ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভেসে গেছে ১১৮০ পুকুরের মাছ, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৪৯ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৫৮

গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় টানাবর্ষণে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওড়। শুক্রবার থেকে শনিবার বিকাল নাগাদ বৃষ্টি না হলেও হাওড়, নদ-নদী, খাল-বিলের পানি বাড়ছে।

মৎস্য অফিসের প্রাথমিক তথ্যমতে, প্রবলবর্ষণে উপজেলার প্রায় ১ হাজার ১৮০টি পুকুরে চাষকৃত মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎসচাষিদের ৪০০ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে মৎস অফিস।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন আইথর গ্রামের ২৫ লাখ, টেঙ্গুরীর জসিম উদ্দিন ২৫ লাখ,চিকনি গ্রামের জাহানারা এগ্রোর ৩০ লাখ, দলপা গ্রামের সাইদুর ২৫ লাখ, গন্ডা গ্রামের আরমান ভূইয়া ১৫ লাখ, বাননাল গ্রামের ঝুমন মিয়া ২৫ লাখ, কৈলাটি গ্রামের আব্দুর রউফের ১০ লাখ, আব্দুস সালামে ১৫ লাখ, দ্বিগর গ্রামের সবুজ মিয়ার ২০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আজহারুল আলম জানান, এই পর্যন্ত ১১৮০ পুকরের ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তের খবর পেয়েছি, তবে সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

মৎসচাষি আব্দুর রউফ জানান, পানি এখনো বাড়ছে। বৃষ্টি আরও হলে মৎসচাষিদের আরও ব্যাপক ক্ষতি হবে। নেটজালের দাম বেড়ে গেছে। আগে যে নেটজাল ৮০০ টাকা দিয়ে আনতাম এখন এই জালের দাম ৯০০/১০০০ টাকা হয়েছে।

এদিকে কৃষি অফিসের প্রাথমিক তথ্যমতে, ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর আমন ধানের খেত সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে। আবাদি জমির প্রায় ৭০% জমি রয়েছে অর্ধ নিমজ্জিত। এছাড়াও মরিচ, টমেটো ও ফুলকপির ৩০ টি বীজতলা তলিয়ে গেছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি না হলেও পানি বাড়ছে। যে কারণে নিমজ্জিত সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৭৫০ হেক্টর জমি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত আর বাকি জমির মধ্যে প্রায় ৭০% জমি অর্ধ নিমজ্জিত রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি পানি না সরলে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জানান, হঠাৎ অতিবৃষ্টির ফলে মৎসচাষিসহ সাধারণ পুকুরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার পুকুরের পাড় ডুবে মাছও বেরিয়ে গেছে। বহু আমন ফসলের জমি পানির নিচে। এতে কৃষকেরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, মৎসচাষি ও কৃষকের সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পোষানো খুবই কঠিন হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ