দেশের ব্যস্ততম আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বাইপাইল আব্দুলাহপুর সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চরম দুর্ভোগে থাকা শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘আশুলিয়ায় জলাবদ্ধতামুক্ত সড়ক চাই’, ‘ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে চাই’ প্রভৃতি স্লোগান লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে জমে থাকা পানিতে নেমেই প্রতিবাদ করেছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

সড়কে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হিসেবে নেতারা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নয়নজুলি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে খাল খনন, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের আশুলিয়ায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। আমরা আশুলিয়াকে জলাবদ্ধতা মুক্ত চাই। যুগের পর যুগ বছরের পর বছর জলাবদ্ধ থাকে এই সড়ক। এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে থাকলেও অদৃশ্য কারণে কর্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অপরিকল্পিতভাবে কারখানা ও বসতবাড়ি করার কারণে এবং নয়নজুলি খাল দখল যাওয়ার কারণেও এখানে কৃত্রিম বন্যা হয়ে যায়। এই সড়কের দুই পাশের কারখানার বর্জ্য পানির কারণেও সড়কে পানি জমে।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অফ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন শিকদার বলেন, আমরা আশ্বাস পেলেও সমাধান পাই না। এর জন্য আজকে আমাদের এই প্রতিবাদ। আমরা চাই সরকারের যারা কর্মকর্তারা আছেন তারা উদ্যোগ নিয়ে এই সড়কে জলাবদ্ধতা মুক্ত করবেন। আমরা আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। এ অঞ্চলে এত শ্রমিক বসবাস করে, তারা নোংরা পানি মাড়িয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলের এই বেহাল দশা দেখার কি কেউ নেই?

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারি বিন্দু, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম বাচ্চু শ্রমিক নেতা আশিক সরকার, শেখ আল মামুন বিপ্লব প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প চলমান থাকায় সড়কটি এখন আর সড়ক ও জনপথের অধীনে নেই। এখন এই রাস্তাটি রয়েছে প্রকল্পের অধীনে। গত বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) থেকে টানা ২২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকার প্রবেশ পথ আশুলিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে যায়। এতে সড়কে চলাচলরত মানুষ ও শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগ পড়েন।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর