রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সোহেল রানা, নূরুন্নবী হোসেন হৃদয়, আনোয়ার হোসেন সাইমন ও সাব্বির। এই হত্যা মামলার অপর দুই আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাদের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে চলমান রয়েছে। ওই দুই আসামি হলো ফয়সাল আহম্মেদ পিয়াস ও শিমুল ওরফে পশাল।

মামলার বাদী আব্দুস সালামের ছেলে পিয়াস এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তষ্ট নই।’

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এই মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু নির্জন এলাকায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেহেতু আদালত মনে করছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার। যাবজ্জীবন ছাড়াও আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর বলেন, উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে আসামিরা খালাস পেয়ে যাবেন বলে আইনজীবী উল্লেখ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসচালক আব্দুস সালামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন আব্দুস সালামের ছেলে পিয়াস বাদী হয়ে নগরের মতিহার থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার চার দিন পরে শিমুল ওরফে পলাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে মামলা চলমান ছিল।

নয়া শতাব্দী/এসএম