রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক নাতনিকে দেখতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দাদা আবদুল মালেক (৬২)। বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে আবদুল মালেক রাস্তা পাড় হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক এসে তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবির হাসান বলেন, ‘গতকাল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজারে মেয়ে বাচ্চা হয়। রাত প্রায় ১টার দিকে দেখি আমার মেয়ের অবস্থা অবনতির দিকে। ওই সময় বিষয়টি আমার বাবাকে ফোনে জানালে তিনি নাতনিকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন। বাবাকে হাসপাতালের রাস্তার বিপরীত পাশে সিএনজি নামিয়ে দেয়। তখনো আমাকে ফোন করে জানান রাস্তার উল্টাপাশে আছেন। রাস্তা পার হয়েই হাসপাতালে চলে আসছেন।
আমি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর যখন দেখি বাবা আমাকে কল দিচ্ছে না। তখন বাবাকে ফোন দিলে অন্যপ্রান্ত থেকে আরেকজন কল রিসিভ করে বলেন, ‘আপনার বাবা অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। অবস্থা ভালো না। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাবে রাখা হয়েছে।’ এরপর আমি দ্রুত জরুরি বিভাগে ছুটে গেলে ডাক্তার জানায় আমার বাবা মারা গেছে। আমার মেয়েকে দেখতে আসায় আমার বাবাকে হারিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’
এ ঘটনার বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা ঘাতক ট্রাকটি আটকের চেষ্টা করছি।’
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ