ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

প্রকাশনার সময়: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৩৮

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। প্রবল পানির চাপে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা রাত ৮টার দিকে ৩৫ সে. মি. পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতের দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। ইতোমধ্যে জেলার সদর, আদিতমারী , কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হুহু করে পানি ঢুকছে। এতে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি বাড়ি ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর ও গোকুণ্ডা আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,ও এলাকার মানুষ বেশি আতঙ্কে রয়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, ‘তিস্তা পাড়ে রেড এলার্ট শুনে তিস্তা চরের মানুষদের সরে যেতে শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন স্কুল ও উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, ‘উজানে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তাসহ আশপাশের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ‘আমরা নদী এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক হতে বলেছি। সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ