ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটপাতে হকার ও সড়কে পার্কিংয়ে দুর্ভোগ

প্রকাশনার সময়: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:১১ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:১৩

কক্সবাজার শহরের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ সড়কের ফুটপাত এবং সড়কের দুই পাশ এখন ব্যবসায়ী ও সিএনজির দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল বেচাকেনা করছেন তারা। চায়ের দোকান, সবজি, মাছ, মাংস, ফলমূল, কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।

এছাড়া রাস্তার পাশের অনেক দোকানের মালামালও দখল করে নিয়েছে ফুটপাত। কেউ কেউ ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও পসরা সাজিয়েছেন নানা পণ্যের। এর বাইরে যততত্র সিএনজি পার্কিংয়ের কারণে শহরে সার্বক্ষণিক লেগে থাকছে যানজট। ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার ছাড়াও প্রতিনিয়ত পৌরবাসী যানজটের ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এসব কারণে পথচারীরা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করছে। তবে ফুটপাত থেকে সকলকে সরে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও যততত্র পার্কি করা সিএনজির বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।

শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার খুরুশকুল রাস্তার মাথায় ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে মাছ বাজার, কালুর দোকান এলাকার দোকানদারদের মালামাল ফুটপাতে, বার্মিজ স্কুলের সামনে ফুটপাতে তরকারির দোকান, এরপর সেখান থেকে মিষ্টাঙ্গন পর্যন্ত দোকানদারদের মালামাল বিশেষ করে রড, ঢেউটিন, পাইপসহ ইলেকট্রনিক্স তার ও অন্যান্য সরঞ্জামে রয়েছে ফুটপাতে। মসজিদ রোডের বেশিরভাগ ফলের দোকানের মালামাল ফুটপাতে। এছাড়া মসজিদ রোডের মুখ, আইবিপি রোডের মাথা, ফায়ার সার্ভিস মসজিদ রোড, পুরাতন পান বাজার রোড, বিলকিস মার্কেট, লালদিঘীর পাড়, গুমগাছতলা, থানা রোড, ইডেন গার্ডেন সিটির সামনে, পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন ফুটপাত, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের খাবার, কাপড়, জুতা সহ নানা রকম পণ্যের দোকান। তাছাড়া শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা বাজারঘাটা প্রায়ই সমস্ত দোকানের মালামাল রাখা হয়েছে রাস্তায়।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, শহরের খুরুশকুল রাস্তার মাথা, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সামনের বাজারঘাটা পৌরসভা মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড়ের মুখ, আইবিপি রোডের রাস্তার মাথা, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদিঘীর পূর্ব পাড়ের মসজিদ রোড, পৌরসভা গেইট ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা এবং কলাতলীতে সিএনজি পার্কিং করে রাখা হয়েছে।

এ সময় ফুটপাতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বড় বাজারের ইজারা প্রাপ্তদের চাঁদা দিয়েই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন তারা। স্থান ও পণ্যভেদে তাদেরকে টাকা কমবেশি গুনতে হয়।

এছাড়া খুরুশকুল রাস্তার মাথার ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা বাজার থেকে তারাবনিয়ারছড়া হেলাল উদ্দিন, মো. রুহাল, মো. রুবেল, বাবু প্রকাশ টুকাই বাবু ও বেলাল নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তাছাড়া শহরে রাস্তা দখল করে গড়া সিএনজি পার্কিং থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলেন হাসপাতাল সড়কের দীপক দাশ, মোহাজের পাড়ার মোর্শেদ, তৌহা ও মুন্না, বেলাল ও দিদার। তবে এই সিন্ডিকেট প্রধান হচ্ছেন কুমিল্লার বাসিন্দা কবির।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত রয়েছি। ভারত থেকে এসে এসব পার্কিং সরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, দখলদারের ফুটপাত থেকে সরে যেতে দুই দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরে না গেলে আগামী ৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ