গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার বাঘিয়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) ভোর রাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাঘিয়া এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনের সড়ক থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আমিনুল ইসলাম (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার জোরবাড়ীয়া এলাকার মৃত মো. শাহ আলীর ছেলে।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আশরাফ উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের আমবাগ এলাকায় স্ত্রী সন্তানসহ ভাড়া বাসায় থেকে এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন আমিনুল ইসলাম। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় স্বজনরা তার খোঁজ করতে থাকেন। রাত সোয়া দুইটার দিকে তার গলা কাটা লাশ বাসা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাঘিয়া এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনের সড়কের উপর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। লাশের কয়েক গজ দূরে তার অটোরিকশাটি পড়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
জিএমপির কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, অটোরিকশার ভেতর নিহতের রক্ত লেগেছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ড্রাইভিং ছিটে বসা অবস্থায় পিছন থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কাটে। এ সময় ভিকটিম প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে অল্প দূরে গিয়ে পড়ে যায় এবং
ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। নিহতের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ও অটোরিকশাটি চুরি হয়নি। কী কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করেছে।
নিহতের বড় বোন সাহারা জানান, আমার ভাই আমিনুল পাঁচ হাজার টাকা সন্দেহভাজন আটক রোমান এবং রানাদের কাছ থেকে ধার নেয়। এ ধারের টাকা পরিশোধ না করতে পারায় তাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ