ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যা আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশনার সময়: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৫ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৪০

গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্তরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষদের।

অন্যদিকে, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অপরদিকে নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার রেকর্ড অনুয়ায়ী জেলার অনান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ঘর-বাড়ি তলিয়ে না গেলেও আমনখেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষকেরা। এরইমধ্যে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, চর পাড়ামৌলা, চর তৈয়ব খাঁ নিম্নাঞ্চলে তিস্তা নদীর পানি প্রবেশের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গতিয়াশাম এলাকার বাসিন্দা কৃষক মো. আব্দুল মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার পানিতে আমার ২ বিঘা আমনখেত তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। আবার নতুন করে আমনখেত করেছি। একদিকে নদী ভাঙন, আবার যদি বন্যা হয় তাহলে আবার আমন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরা বলেন, তিস্তা নদী পানি গতকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার বাম তীরে ঘড়িয়াল ডাঙা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে তো অনেকে বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যহত থাকলে সমতল স্তরে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে, তবে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই। রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ