মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা অপশক্তিতে মেতেছে। নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত ও মিথ্যাচার করার এটাই তাদের মোক্ষম সময়। বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিপক্ষ যতই অপপ্রচার করুক না কেন বিভ্রান্ত হবেন না। এই দেশে দৃশ্যমান কি হয়েছে জনগণ তা জানে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা গ্যালারির উদ্বোধন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বের ইতিহাস শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজাকার আল-বদর, আল-শামস, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতার পরে তারা এখনও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির বিরোধিতা করে যাচ্ছে। আমাদের আশপাশে তারা মিলেমিশে আছে, সুযোগ পেলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যারা দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে, তাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাধাকে অতিক্রম করে চলাটাই সফলতা।
মন্ত্রী বলেন, ৫২ বছরের মধ্যে ২৯ বছর জিয়া, খালেদা, এরশাদ ক্ষমতায় ছিলেন। আর আমার বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর, তার রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শের উত্তরাধিকার, আমাদের মহান নেত্রী ১৯ বছর সব মিলে সাড়ে ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরা কি করেছি। আর ২৯ বছর ক্ষমতায় তারা কি করেছে, সেটা তুলনা করলেই মানুষ বুঝবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তারা কখনও চায়নি বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র হোক, নিজের পায়ে দাঁড়াক। তাদের সাবেক পাকিস্তান একটা ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। একইভাবে তাদের ২৯ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশটাকে পিছনের দিকে টেনে ধরেছিল। অকার্য ব্যর্থ রাষ্ট্র করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল। আমাদের ভাগ্য ভালো যে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিটে-ফোঁটা ছিল বলেই তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস কারিকুলাম করে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির মহাসচিবের দেয়া সংঘাতের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি গণভবনে কে বসবে, বঙ্গভবনে মা-বেটা বসবে, এসব কত কথাই না বলে, আসলে পাগলে কি না বলে বুঝতে হবে।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ