টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চোরকে চিনে ফেলায় সাংবাদিকের মা সুলতানা সুরাইয়াকে (৬৫) হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের পিবিআই অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পিবিআই পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ ও ভূঞাপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ পুনর্বাসন এলাকার শাহজাহানের ছেলে মো. লাবু (২৯) এবং টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার সিরাজ আকন্দের ছেলে আল আমিন আকন্দ (২২)।
পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন বলেন, সুলতানা অবসর সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তার সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। সুলতানার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ছিলেন। তার এক ছেলে দ্য বিজনেস
স্ট্যান্ডার্ডের নিউজ এডিটর। স্বামী মারা যাওয়ার পর সুলতানা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতেন। গ্রেফতারকৃত আল আমিন সুলতানার আত্মীয়। সে হিসেবে সুলতানা কোথায় টাকা রাখতেন তা আল আমিন জানতেন। তিনি মাঝে মধ্যে সুলতানার কাজ করে দিতেন। ঘটনার দিন তারা বাড়ির গ্রিল বেয়ে টিনের বেড়ার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করে এবং লুকিয়ে থাকে।গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সুলতানা বাথরুমে যান। এ সময় গ্রেফতারকৃতরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। সুলতানা তাদেরকে চিনে ফেলেন। পরে সুলতানা চিৎকার করে আশপাশের লোক জড়ো করার চেষ্ট করেন। গ্রেফতারকৃত দুইজন সুলতানার গলায় গামছা ও সুতা পেঁচিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর তারা ১২ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা সুলতানার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পায়। পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে গিয়ে ঘরের লাইট জ্বালানো ও ফ্যানের শব্দে সন্দেহ হওয়ায় গেট টপকে ঘরে উঁকি দেয়। এ সময় ঘরের মেঝেতে সুলতানার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই এ মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ হত্যা মামলায় জড়িত দুই জনকে সিরাজগঞ্জ ও ভূঞাপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে। হত্যায় ব্যবহৃত চুরি উদ্ধার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ