কুষ্টিয়ায় ডাকাতির মামলায় ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাকির, উল্লাস ও তৈয়মুর উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাকির হোসেন, উল্লাস, রফিকুল ইসলাম রফিক, খন্দকার তৈয়মুর ইসালাম বিপুল, মনির, সাগর ওরফে জাহাঙ্গীর, আনোয়ার, মধু শিকদার ও মশিউর রহমান। এ মামলায় রবিউল ইসলাম, সুমন, ছলেমান ও সোহেল রানা নামের চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২২ জুলাই রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে আসামিরা ডাকাতি করে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরি ঠেকিয়ে টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে। এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক মামলার ৯ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ডাকাতির মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৯ আসামির ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ