ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

উখিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশনার সময়: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:২০ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে মিয়ানমারভিত্তিক দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের আহত হয়েছেন। এতে আশ্রয় শিবিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুতুপালং মধুর ছড়াস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো, ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক জি-৯-এর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শামসুল আলম এবং ২ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ২-৪ এর গফুর আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ। শামসুলের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। নুর মোহাম্মদের মরদেহ ক্যাম্পে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক কমিউনিটি নেতা জানিয়েছেন, আরএসও নেতা মৌলভী রহিমুল্লাহ উল্লাহ এবং আরসা নেতা নবী হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন ছাড়াও কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের মরদেহ পাহাড়ে আরসার আস্তানায় রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে, কেন এই হত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের একজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অপরজনের মরদেহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পে গেছে। ফেরার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

তিনি বলেন, ৬ নম্বর ক্যাম্পের ২নং পাহাড়ের সামনে খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে খেলার মাঠে এসে গুলি করলে ২ জন নিহত হন। ঘটনার পর পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

নিহত শামসুল আলমের ছোট বোন হাসিনা বেগম বলেন, ‘আরসার লোকজন ভোরে ক্যাম্প থেকে আমার ভাইকে ডেকে পাহাড়ে নিয়ে যায়। বিকালে জানতে পারি ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন মারা গেছে।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের তথ্যমতে, এ ঘটনায় আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল; যাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শামসুল আলমের মরদেহ মর্গে রয়েছে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১১ জন আরসা সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ