ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঝুট কাপড়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি রকমের পাপোশ

প্রকাশনার সময়: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২২

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পোশাক তৈরির অব্যবহৃত ঝুটের টুকরো কাপড় দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে বাহারি রকমের পাপোশ। ঝুটের তৈরি পাপোশে কালিয়াকৈরে বেশ কয়েকটি পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা। ঝুট কাপড় দিয়ে তাঁত মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত পাপোশ।

স্থানীয় বাজারে এসব পাপোশের রয়েছে ব্যাপক কদর। তবে সফলতার পথে তাদের বড় বাধা অর্থ। যদি সরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এই শিল্পকে আরও প্রসারিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা। একইসঙ্গে এখান থেকে আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করছেন তারা।

কালিয়াকৈরের রতনপুর এলাকাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় পোশাক তৈরির ঝুট কাপড়গুলো ফেলে দেওয়া হতো কিংবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলেও এর স্থায়ী সমাধান ছিল না। আর এখন সেই কাপড় দিয়েই তৈরি হচ্ছে ঘরে ব্যবহারের বাহারি রকমের পাপোশ। বর্তমানে পাপোশ তৈরির কারখানা হওয়াতে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। পাশাপাশি কারখানার মালিকদের কাছ থেকে কাজ শিখে, নারীরা ঘরে বসেই তৈরি করছেন এ পাপোশ। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচশ টাকা আয় করছেন তারা।

কারিগর আমিনুল বলেন, আমি দীর্ঘদিন এখানে পাপোশ বানিয়ে নিজের সংসার চালাই। দৈনিক এখান থেকে যা আয় করি তা দিয়ে আমি ও আমার পরিবার বেশ ভালোই চলে। আমাদের এই ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের দিকে সরকারের সু-দৃষ্টি কামরা করি।

কারখানার মালিক বলেন, আমি খুবই দারিদ্র্য ঘরের সন্তান। এক সময় আমি ভারতে একটি পাপোশ তৈরির কারখানায় চাকরি করতাম। পরবর্তীতে দেশে এসে কালিয়াকৈর রতনপুরে পাঁচটি মেশিন কিনে অব্যবহৃত ঝুট দিয়ে পাপোশ তৈরি করে বাজারজাত করতে শুরু করি। কিছুদিনের মধ্যে বাজারে পাপোশের ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় আমি আরও উৎসাহিত হই। বর্তমানে আমার কারখানায় ১৮টি মেশিনসহ একশ পরিবারের কর্মস্থান তৈরি হয়েছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, রতনপুর এলাকায় অব্যবহৃত ঝুট দিয়ে যে পাপোশ তৈরি হয় তা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদি তারা কোনো সরকারি সহযোগিতা চায় তবে আমরা তাদের অবশ্যই সহযোগিতা করবো।

নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ