ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় সাঁকোই ভরসা

প্রকাশনার সময়: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:০৪

নেত্রকোনা পৌরসভার হোসেনপুর এলাকার গোলাপখালী খালের উপর বক্স কালভার্টটি দীর্ঘ দিনেও মেরামত করা হচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের দিকে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা পৌরসভা হোসেনপুর এলাকার গোলাপখালী খালের উপর একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কালভার্টটি নিমার্ণের ফলে এলাকার লোকজন শহরে যাতায়াতের সুবিধা পায়। কিন্ত বিধি বাম। এ সুখ বেশি দিন ঠিকল না এলাকাবাসীর ভাগ্যে। নির্মাণের প্রায় পাঁচ বছর পরেই হোসেনপুর বিলের পানি তোড়ে বক্স কালভার্টটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকেই এলাকাবাসী পৌরকর্তৃপক্ষের কাছে কালভার্টটি মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছেন।

হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, পৌরসভাকে একাধিকবার কালভার্টটি পুণনির্মাণের দাবি জানালেও আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্ষাকালে বাঁশের সাঁকো আর শুকনো মৌসুমে খালের তলদেশ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

এলাকার শিক্ষার্থীরা জানান, বর্ষাকালে সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।

হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান জানান, এলাকার অসুস্থ্য রোগী নিয়ে সাঁকো পারাপারে খুবই সমস্যা হয়। বেশি সমস্যায় পড়তে হয় গর্ভবর্তী মায়েদের নিয়ে।

স্থানীয় আনন্দবাজার শাহী মসজিদের ইমাম মাওলানা কুতুব উদ্দিন জানান, সড়ক বাতি না থাকায় সাঁকো দিয়ে রাতে পারাপারে অনেক কষ্ট হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করে এলাকাবাসীকে কালভার্টটি নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পরে কেউই প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

নেত্রকোণা পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন শেখ জানান, বক্স কালভার্টটি পূণঃনির্মাণের জন্য তিনি ইতিমধ্যে পরিষদের সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। শুকনো মৌসুমে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি আশার বাণীও শুনিয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ