ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

র‌্যাব ও বিটিআরসির অভিযানে বিপুল পরিমাণ বেতার সরঞ্জাম জব্দ

প্রকাশনার সময়: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:১৮

গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ও অনুমোদনহীন বুস্টার, রিপিটার ও জ্যামারসহ বিভিন্ন বেতার সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্প এবং বিটিআরসির যৌথ টিম।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত টানা তিনদিন গাজীপুর জেলা সদর, জয়দেবপুর, শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়।

মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, গাজীপুর জেলার ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের অনুকূলে বরাদ্ধকৃত তরঙ্গ ব্যান্ডে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা শনাক্তকরণ, নিরসন এবং অবৈধ রেডিও ইকুইপমেন্ট জব্দকরণ ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত টানা তিনদিন গাজীপুর জেলা সদর, জয়দেবপুর, শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাব-১ ও বিটিআরসি যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরও জানান, অভিযানকালে গাজীপুরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার কিতাব আলী প্লাজারে একটি টাওয়ার, শহিদুল্লাহ কমপ্লেক্সের দুটি টাওয়ার, শ্রীপুর রোডের একটি টাওয়ার, জৈনাবাজারের একটি টাওয়ার, জয়দেবপুর থানার বাঘের বাজারের একটি টাওয়ার, হোতাপাড়ার একটি টাওয়ার, মন্ডল গ্রুপের একটি টাওয়ার, সদর থানার সালনা বাজারের একটি টাওয়ার, মুন্সিপাড়ার রফিক ভবনের একটি টাওয়ার, হাক্কানী হাউজিং সোসাইটির একটি টাওয়ার এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানার স্কয়ার মাস্টারবাড়ির একটি টাওয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।

এ সময় মোট দুটি ইনডোর রিপিটার বুস্টার, চারটি আউটডোর রিপিটার বুস্টার, ৭৬টি ছোট-বড় বিভিন্ন এন্টেনা, ৫২টি সুইচ এবং তিনটি ইনডোর রিপিটার এন্টেনা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ নেটওয়ার্ক সরঞ্জামাদির আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা।

উদ্ধারকৃত আলামত বিআরটিসিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানকালে এসবের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, যেসব এলাকায় নেটওয়ার্ক দুর্বল, সেসব জায়গায় অবৈধ বুস্টারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে থাকে অপরাধী চক্রের সদস্যরা। এ সুযোগে অপরাধী চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ নেটওয়ার্ক বুস্টার কিনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো। এসব অবৈধ ব্যবসায়ী ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।

অভিযানকালে বিটিআরসির সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক (এসএম) সরফুদ্দিন চৌধুরী, স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রতন কুমার দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ