ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি

প্রকাশনার সময়: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৮

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ৩ দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ও আট ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর রোগীর স্বজন এবং পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা হামলা করেন। এর প্রতিবাদে আগামী তিন কার্যদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম জানান, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে কর্মরত এএসআই মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনকে হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মাহমুদুল কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকেন। এ সময় ওই চিকিৎসক অন্য রোগী দেখছিলেন। একটু পরে আসবেন বলে তাকে জানান। এ সময় এএসআই মাহমুদুল ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। পরে দুই পক্ষের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তিনি মাহমুদুলকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক পুলিশ ক্যাম্পে যান। এ সময় পুলিশ ক্যাম্পে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আটজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হন। তাদের মধ্যে ডা. সাদিক ও ডা. শামীম রেজা গুরুতর আহত হন। ইতোমধ্যে তাদের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, বুধবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে একই দিন রাতেই জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার। কমিটিকে তিন দিনের মাঝে প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ