ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবারও বন্ধ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ, খেলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশনার সময়: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৩ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৮

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফলিয়া সহদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ আবারও বন্ধ রয়েছে। মাঠে খোয়া ও মাটির স্তুপ পড়ে আছে। শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে পারছে না। ফলে খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই ঠিকাদারের।

২০২২ সালের ১০ মে কাজটি শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ১০মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদার কাজটি শুরু করেন ২০২৩ সালে জুন মাসে। নিজের ইচ্ছামত কাজ করেন আবার নিজের ইচ্ছামত কাজ বন্ধ করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শৈলকুপার ফলিয়া সহদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং এর কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। বেজ ঢালাই দেওয়ার সময় বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের মূল বিল্ডিং এর পাশের টিউবয়েলটি ধ্বসে বেজের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। ল্যাটিনের কুয়া ভেঙে পড়েছিল। বর্তমানে স্কুলে কোনো টিউবয়েল নেই। শিক্ষার্থীরা পানি খেতে পারছেন না। আবার ল্যাটিনের কুয়া ভেঙে যাওয়ায় টয়েলেটের সমস্যা হয়েছে। ফলে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা টয়লেট, টিউবয়েল ও মাঠের সমস্যায় রয়েছে। ঠিাকাদার কাজ বন্ধ রাখায় স্কুল কর্তপক্ষ নানাবিধ সমস্যায় পড়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা যায়, শৈলকুপার ফলিয়া সহদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ফাউন্ডেশনের ১তলা ভবনের কাজ হওয়ার কথা। সে মোতাবেক টেন্ডার সম্পন্ন হয় ২০২২ সালে। কাজটি পায় ঝিনাইদহের বাঘা যতীন সড়কের ঠিকাদার এম/এস কনিকা এন্টারপ্রাইজ। পরবর্তীতে কাজটি বিক্রয় করে দেন ভুটিয়ারগাতীর ঠিকাদার মাহফুল আলম নামের এক ঠিকাদারের কাছে।

২০২২ সালের ১২ মে শিক্ষা প্রকৌশল অফিস ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। কাজটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১০ মে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ১০মে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ঠিকাদারের একগুয়েমীতে ও কাজ বন্ধ রাখায় আমরা স্কুলে এসে বারান্দা থেকে নামতে পারি না। আবার খেলাধুলা করতে পারি না। তা ছাড়া টিউবয়েল না থাকায় পানি খেতে পারি না। টয়েলেটের কুয়া না থাকায় আমরা পায়খানা-প্রসাব ঠিকমত করতে পারি না। এতে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলের ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর মধ্যে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রকৌশলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রিপন আল মামুন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলবো। কাজটি যাতে যত দ্রুত শেষ করা যায় সেই চেষ্টা আমরা করবো।

ঠিকাদার মাহফুল আলম জানান, গত জুন মাসে মাত্র ৫ লাখ টাকা দিয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশলের ফান্ড না থাকায় কাজ করতে পারছি না। তারা অর্থ দিলে আমি দ্রুত কাজ শেষে করতে পারবো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ