ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু 

প্রকাশনার সময়: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৯

ঝালকাঠির নলছিটির দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে রয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন সেতুটি পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসীর।

রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বয়স্ক, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বা জনপ্রতিনিধিরা কেউই সেতু মেরামতের বা নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেননি।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের এই সংযোগ সেতুটি ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতি বছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও হাজারো মানুষের চলাচলের জন্য কাঠ দিয়ে সংস্কার করা সেতু বেশিদিন টিকে না।

ভাঙা সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো মানুষ।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।

রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।

ইজিবাইকচালক দেলোয়ার হাওলাদার ও রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতু দিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসমাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় এ সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ