ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাট জাগ দিতে পুকুর ভাড়া, বিঘা প্রতি ২০০০ টাকা

প্রকাশনার সময়: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৪২

রাজশাহীর বাঘায় ৭ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরধীন এলাকায় এবার কম-বেশি পাট চাষ করা হয়েছে। তবে পাট জাগ দেওয়ার পানি সংকটে বিপাকে কৃষকরা। অন্যের ‍পুকুরে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। তাই তাদের বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, লালপুর, বাগাতিপাড়া সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খরা, অনাবৃষ্টি ও খাল-বিল জলাশয়ে কোথাও পানি নেই। পাট চাষিরা বিপাকে পড়ে খাল-বিলে সেচ দিয়ে পানি জমিয়ে জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

কৃষক বাবু, কালাম, বেলাল, আয়নাল, মান্নান বলেন, পাট চাষে প্রচুর খরচ হয়। জমিতে অনেক পাট রৌদ্রের তাপে পুড়ে গেছে। তারপরও পাট কাটতে হবে, জাগ দিতে হবে। এরপর রোপা আমন ধান লাগাতে হবে। পদ্মার চরাঞ্চচলসহ পাট চাষ হয়েছে। চরাঞ্চচলের বালিমাটিতে পাট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় পাট প্রণোদনা দিলে কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় সম্প্রতি খরায় পাট বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পাটের মান ভালো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাঘাতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। ৭ হেক্টর জমিতে পাট পুড়ে গেছে। তবে পাট উৎপাদনে এভাবে আবহাওয়া চলতে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

কৃষক শানাল, হযরত, লতিফ শেখ বলেন, পানি না থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি জমিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। সে জন্যে পুকুরের মালিককে বিঘা প্রতি ২০০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

উপজেলার দিঘার হাটে ১৮০০, ১৯০০, ২০০০, ২১০০ টাকা দরে পাট বিক্রয় হচ্ছে এবং ফলন ও কম হচ্ছে। তাই পাট চাষে লাভ হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষি অধিদফতর ও পাট অধিদফতর কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ