টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে ভূঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে জিও ব্যাগ ফেলাসহ দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করে আসছে স্থানীয়রা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় শনিবার সকালে ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ করে গত কয়েকদিন ধরে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূঞাপুরের পাটিতাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গেল কয়েকদিনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে শত শত পরিবারের। হুমকিতে রয়েছে স্কুলসহ বহু স্থাপনা।
এদিকে, ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কয়েক দফা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী একটি গাইড বাঁধের।
পাটিতাপাড়া ভাঙন কবলিত এলাকার নাসির উদ্দিন, সেকাম শেখ, সিরাজুল ইসলাম, সজলসহ অনেকে বলেন, যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে তাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের প্রায় ৫০ বছর আগের কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন তারা অসহায়। তাদের আর কিছুই রইল না। প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকাতে কোনো কাজ না করায় প্রতিদিন ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন কবলিতদের নগদ অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অসহায় গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমরা যমুনার পূর্ব পাড়ে ভাঙন রোধে কয়েক দফায় জিও ব্যাগ ফেলেছি। সেটা এখন অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ী বাঁধের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে এর কাজ শুরু করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ