ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. নাজিয়া পাশা মৌ’র বিরুদ্ধে কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করার অভিযোগ ছিল দীর্ঘ দিনের। কিন্তু বরাবরই ছিলেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এ অবস্থায় গত ২৩ আগস্ট কর্মস্থল ফেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রমাণসহ ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ সশরীরে উপস্থিত হয়ে কৈফিয়ত দিতে ওই ডাক্তারকে চিঠি দেন। সেইসঙ্গে চিঠি পাওয়ার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয় ডাক্তার নাজিয়াকে। কিন্তু চিঠি দেয়ার পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও ওই চিঠির কোনো উত্তর দেননি তিনি।
নাম প্রকাশ না করে অনেকেই বলছেন, এ ডাক্তার দীর্ঘদিন ধরেই অফিস চলাকালে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল ফেলে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়টি সকলেরই জানা। তাই ওই চিঠিকে তিনি কর্ণপাত করেননি। ফলে উত্তর দেয়ার প্রয়োজনও মনে করেননি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. নাজিয়া পাশা মৌর এর মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আসিবুল আলম লিমন বলেন, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ আগস্ট ওই ডাক্তারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার তিন কর্মদিবসের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হলেও এখনও তিনি জবাব দেননি।
নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ