ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৫ বছর পর ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই

প্রকাশনার সময়: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৩৫

গাজীপুরে আলোচিত একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতরকৃতরা হলো, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উত্তর আদিতপুর এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মৃদুল হাসান (৩০) ও গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিলমুন মন্ডলবাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফরিদ আহমেদ (৩২)।

নিহতের নাম, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ওরফে ইফতি (২০)। সে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন হারবাইদ পূর্বপাড়া এলাকার মৃত শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে। ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এর ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গাজীপুর মহানগরীর হারবাইদ পূর্বপাড়া এলাকায় নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনের দেখাশুনা করতো ইমতিয়াজ। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে ওই ভবনে ঘুমিয়ে থাকে সে। পরদিন সকালে মোবাইল বন্ধ পেয়ে ইমতিয়াজের খোঁজ জানার জন্য তার মা প্রতিবেশী এক নারীকে অনুরোধ করেন। ওই নারী ভবনে গিয়ে ইমতিয়াজের গলাকাটা লাশ বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে নিহতের মা-সহ স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মামা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ তদন্তকালে রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ।

এর প্রেক্ষিতে পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন নানা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে মৃদুল হাসানকে এবং টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা থেকে ফরিদ আহমেদকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে তারা ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর প্রেক্ষিতে ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। ঘটনার কয়েকদিন আগে সহযোগী যুবকদের নিয়ে গ্রেফতারকৃতরা নির্মাণাধীন ওই ভবনে গিয়ে ইমতিয়াজের মামার কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে যুবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনার রাতে যুবকরা নির্জনস্থানে বসে মাদক সেবন করে। পরে তারা ওই ভবনে গিয়ে ইমতিয়াজকে মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। পরে নিহতের মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ